Banner-adv-3-november.jpg The Incident
× Warning! Check your Cooke | Total Visitor : 150872

আন্তর্জাতিক

Published :
13-08-2020 । 12:32:35pm

Total Reader: 248



কমলা হ্যারিসকে নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের উচ্ছ্বাস


আমেরিকার নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কমলা হ্যারিসের মনোনয়নের সংবাদ অনেক গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘নিউইয়র্ক টাইমস’। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী পত্রিকাটি এমনিতেই রক্ষণশীলদের সমালোচনার মুখে থাকে সব সময়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই ‘নিউইয়র্ক টাইমস’কে একটি ‘ব্যর্থ’ সংবাদমাধ্যম বলে উল্লেখ করে আসছেন। তাঁর সমর্থকদের কাছেও ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ ‘ফেক মিডিয়ার’ তালিকায়।

ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণার পর ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ চারটি পৃথক শিরোনাম করে ছাপা সংস্করণের প্রথম পৃষ্ঠার পুরো ওপরের দিক সাজিয়েছে। শিরোনাম চারটি হলো, ‘হ্যারিস জয়েনস বাইডেন টিকিট: অ্যাচিভিং আ ফার্স্ট’; ‘পলিটিক্যাল ওয়ারিওর শেপড বাই লাইফ ইন টু ওয়ার্ল্ড’; ‘পিক সিন অ্যাজ সেফ বাট এনারগিজিং’ এবং ‘উইমেন অব কালার ইন নম্বর টু স্লট অব মেজর পার্টি’। উদারনৈতিক পাঠক এবং ডেমোক্রেট দলের সমর্থকেরা পত্রিকার এ উচ্ছ্বাস পছন্দ করেছেন বলে জানা গেছে।

নিউজার্সির পিটার বারা (৬০) ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর ছাপা সংস্করণ হাতে নিয়ে প্রতিদিনের সকাল শুরু করেন। জানালেন, অনলাইনে পত্রিকা পড়ে তিনি ঠিক মজা পান না। নিউইয়র্ক টাইমসের এমন উচ্ছ্বাস কী পছন্দ হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে মাথা নাড়িয়ে বলেন, ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর সঙ্গে ভালোবাসা ও অভিমানের সম্পর্ক। সুযোগ পেলেই বা সুযোগ না পেলেও সুযোগ খুঁজে পত্রিকাটির সমালোচনা করাও একটা ফ্যাশন বলে তিনি উল্লেখ করেন। কমলা হ্যারিসকে নিয়ে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর এমন উচ্ছ্বাসে কাভারেজ একটু বেশি হলেও তিনি মনে করেন, টাইমস জানে কী করতে হয়।

আমেরিকার রক্ষণশীল মিডিয়া ‘ফক্স নিউজ’ ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর এ প্রতিবেদনের সমালোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, কমলা হ্যারিসের মনোনয়নের সংবাদ নিয়ে টাইমস যে উচ্ছ্বাস দেখিয়েছে, তা দেখা যায়নি ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মাইক পেন্সের নাম ঘোষণা করেন।

রক্ষণশীল রাজনীতি বিশ্লেষক ব্যান শাপিরো ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর এই সংখ্যা ও ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই সংখ্যার প্রথম পাতার ছবি যুক্ত করে টুইট করেন। ২০১৬ সালে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর প্রথম পাতায় মাইক পেন্সের নাম ঘোষণার সংবাদটি এক কলামে ছাপা হয়েছিল।

আমেরিকার দ্বিতীয় শীর্ষ পদে প্রথমবারের মতো একজন ভিন্ন বর্ণের নারীর মনোনয়ন নিয়ে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ স্বাভাবিকভাবেই এমনটি করেছে বলে পত্রিকাটির ভক্ত-পাঠকেরা মনে করেন। যদিও রক্ষণশীল ও পত্রিকাটির শৌখিন সমালোচকদের মতে, ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ নিরপেক্ষ নেই। ডেমোক্রেটদের প্রতি সব সময় সমর্থনে থাকে বলে তাঁদের অভিমত।

উদারনৈতিক ডেমোক্রেটরাও বলে থাকেন, ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ বাজার অর্থনীতিকেই পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে। কমলা হ্যারিসের মনোনয়ন-সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে এখন নানামুখী সমালোচকদের মন্তব্য বাণ শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে। সূত্র : প্রথম আলো।

এসংক্রান্ত আরো সংবাদ : US_election_2020




একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনার চার পাশে ঘটে যাওয়া সংবাদ উপযোগী যে কোন ঘটনার ছবি বা ভুক্তভোগী ও সম্পৃক্তদের মোবাইল নম্বর আমাদের পাঠাতে পারেন।

সম্পাদক : রাজু আহমেদ

বার্তাকক্ষ
এসোসিয়েশন ভবন
৬১০০, রাজশাহী, বাংলাদেশ।
rzuahd@gmail.com
call@ 01711027084