Banner-adv-3-november.jpg The Incident
× Warning! Check your Cooke | Total Visitor : 142579

রাজশাহী

Published :
01-11-2024
11:20:36am

Total Reader: 245



জুয়া খেলতে ভল্ট থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাত : ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগ


রাজশাহী অফিস : ভল্ট থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা সরানোর অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহী শাখার আট কর্মকর্তা বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০২০ সালের এই ঘটনা তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগর বিশেষ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা। তিনি জানান, আগামী তারিখে অভিযোগপত্রের বিষয়ে শুনানি হবে।

অভিযুক্ত আট কর্মকর্তা হলেন ব্যাংকটির রাজশাহী শাখার সাবেক সিনিয়র ক্যাশ অফিসার ও ক্যাশ ইনচার্জ এফ এম শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল, ডেপুটি ম্যানেজার (বর্তমানে বরখাস্ত) মাজেদুল ইসলাম, সাবেক অফিসার (ক্যাশ) মাহবুবুল আলম ও আতাউর রহমান, সাবেক এসএভিপি (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) শাহ মাসুদ জামাল, ট্রেইনি জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) রাকেশ কুমার দত্ত, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ফাহমিদা উম্মে নাজনীন এবং সাবেক ম্যানেজার ও জোনাল ম্যানেজার (বর্তমানে বরখাস্ত) সেলিম রেজা খান।

সূত্রমতে, দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহী ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহী শাখার সাবেক সিনিয়র ক্যাশ অফিসার ও ক্যাশ ইনচার্জ এফ এম শামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে মামলাটি তদন্তকালে অন্য সাতজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তাঁরা পারস্পরিক যোগসাজশে প্রতারণা-জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রাহকদের জমা দেওয়া টাকা তাঁদের হিসাব নম্বরে জমা না করে আত্মসাৎ করেন। টাকা জমা নেওয়ার সময় গ্রাহকদের ভুয়া জমা স্লিপ দেওয়া হয়েছিল। মোট ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা তাঁরা আত্মসাৎ করেন। এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত হয়রাজশাহী শাখার ক্যাশ ইনচার্জ শামসুল ইসলাম জানিয়েছিলেন জুয়া খেলতে তিনি ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকাগুলো কৌশলে সরিয়ে নেন।

এর মধ্যে ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা তাঁরা সংগ্রহ করেছিলেন গ্রাহকদের কাছ থেকে। টাকা নেওয়ার সময় গ্রাহককে জাল জমা স্লিপ দিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর গ্রাহকের জমা করা টাকা তাঁরা আত্মসাৎ করে নেন। চেকে গ্রাহকের নকল সই দিয়েও টাকা তুলে নেন তাঁরা। এ ছাড়া তাঁরা গ্রাহকের টাকা জমা দেখিয়ে চেকে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে আব্দুল্লাহ জুল বাদাইন নামের এক গ্রাহকের হিসাব থেকে ১৬টি চেকের মাধ্যমে ১ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং ফজিলা খাতুন নামের আরেক গ্রাহকের ১৫টি চেকের মাধ্যমে ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা তুলে নেন। এ ছাড়া আরও নানা কায়দায় তাঁরা মোট ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এ ঘটনা দুদক তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আজ আদালতে অভিযোগপত্র দিল।

এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহী শাখার ক্যাশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ক্যাশ ইনচার্জ শামসুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তখন তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

ফয়সাল জবানবন্দিতে বলেন, কৌশলে ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা সরাতেন। ভল্টে সবসময় প্রায় ১৫ কোটি টাকা থাকত। তিনি সামনের লাইন ঠিক রেখে পেছনের লাইন থেকে টাকা সরাতেন, যাতে কারও সন্দেহ না হয়। এই করে তিনি ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে সরিয়েছেন। এর পর এই টাকা দিয়ে তিনি জুয়া খেলেছেন। একটি অ্যাপের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক জুয়াড়িচক্রের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি।

ছবি : প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহী শাখার ক্যাশ ইনচার্জ এফ এম শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল।

এসংক্রান্ত আরো সংবাদ : ব্যাংক_জালিয়াতি




একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনার চার পাশে ঘটে যাওয়া সংবাদ উপযোগী যে কোন ঘটনার ছবি বা ভুক্তভোগী ও সম্পৃক্তদের মোবাইল নম্বর আমাদের পাঠাতে পারেন।

সম্পাদক : রাজু আহমেদ

বার্তাকক্ষ
এসোসিয়েশন ভবন
৬১০০, রাজশাহী, বাংলাদেশ।
rzuahd@gmail.com
call@ 01711027084