Banner-adv-3-november.jpg The Incident
× Warning! Check your Cooke | Total Visitor : 142598

জাতীয়

Published :
17-11-2022
05:41:47pm

Total Reader: 422



বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের এত নসিহত না করাই ভালো : লিটন


নিজস্ব প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ইদানিং লক্ষ করছি বিদেশি রাষ্ট্রদূতেরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে অনেক বেশি কথা বলছে। এমন সব কথা বলছেন যা শোভনীয় নয়, বাঞ্ছনীয় নয় এবং তাদের বলাটা উচিতও নয়। এটা দিন দিন বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাজশাহীতে সংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন। এদিন বেলা ১১ টায় রাজশাহী সটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের মেয়রের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে। সাক্ষাত শেষে মেয়র সংবাদিকদের এবিষয়ে ব্রিফ করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি কুটনীতিকদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত মন্তব্য নিয়ে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বক্তব্য নিয়ে আমাদের দলের নেতৃবৃন্দ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আমিও মনে করি দেশের নির্বাচন কী পদ্ধতিতে হবে, কিভাবে হবে; সেটা দেশের সরকার, জনসাধারণ এবং নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। বিদেশিদের প্রকাশ্যে এত মতামত প্রকাশ করা বা নসিহত না করাই ভালো।

বিএনপির আন্দোলন ও আওয়ামী লীগকে দেয়া আল্টিমেটাম প্রসেঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি কর্তৃক হলুদ কার্ড, লাল কার্ড ইত্যাদি দেখানো; সেতো অনেক আগ থেকেই দেখে আসছি। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত অসংখ্যবার তারা কার্ড দেখিয়েছেন। সেই হিসেবে বাংলাদেশেতো আওয়ামী লীগ সরকার থাকারই কথা ছিল না। বিএনপির কথাগুলো রাজনীতির মাঠ গরম করার জন্য বলা। তারা তাদের নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্যই হয়তো বলছে। আসলে তাদের সেই সক্ষমাত থাকলে অনেক আগেই এটা কার্যকরী করতে পারতেন। যেটা তদের নেই। যাকে বলা হয় যে, ফাঁকা কোলসী বাজে বেশি।

এদিকে চায়না রাষ্ট্রদূতের সাথে মেয়রের আলাপচাতিরা প্রসঙ্গ তুলে ধরে মেয়র বলেন, চায়না বর্তমানে আমাদের অত্যন্ত বন্ধু প্রতীম একটি দেশ এবং অন্যমত প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। অধিকাংশ বড় বড় অবকাঠামোগুলি তাদের কম্পানি বা তদের প্রকৌাশলীদের মাধ্যমেই নির্মিত হচ্চে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা উপকৃত হবো। আজকে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাথে আমার সৌজন্য সাক্ষাত হয়েছে। তিনি পরিচ্ছন্ন ও সবুজায়ন এই রাজশাহী মহানগরীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ও চায়নার সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেই চুক্তিতে পদ্মা নদীর পানি পরিশোদন ও পাম্প করে গোদাগাড়ী পৌরসভা, কাটাখালী পৌরসভা, নওহাটা পৌরসভা এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হব। সেটার বিষয়ে সবশেষ একটা স্বাক্ষর হলেই চায়নিজ এক্সিম ব্যাংক প্রথম কিস্তিটি ছাড় করবে।

রাসিক মেয়র জানান, তিনি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে চীনা সরকারকে প্রস্তাব করেছেন যে নগরীর সলিড বর্জ্য যেগুলো ট্রিটমেন্ট না করে ফেলে দেয়া হচ্ছে। সেগুলো সারা বিশে^ টিটমেন্ট করে রি-ইউজের মাধ্যমে জ¦লানী ও জৈবসার তৈরি করা হয়। চীনা রাষ্ট্রদূতকে এবিষয়ে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রদূত আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চীন সরকার ও রাজশাহি সিটি কর্পোরেশন যৌথ ভাবে পাবলিক প্রাইভেট পাটনারশিপের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে শহরের যত বর্জ্য পানি যা ড্রেনের মাধ্যমে বাইরে দিয়ে দেয়া হয়। তবে তা ট্রিটমেন্ট করে কৃষি কাজে ব্যবহারের উপযোগী করার বিষয়য়েও কথা হয়েছে। এবিষয়ে তারা প্রস্তাবনা চেয়েছেন।

মেয়র বলেন, রাজশাহী সহ দেশের জুুটমিল, সুগারমিল টেক্সটাইলমিল কন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এগুলো চায়না সরকারের সাথে চুক্তি করে ইজারা ভিত্তিক দেয়ার মাধ্যমে নতুন করে পরিচালনা সুযোগ করা যায় কিনা। তারা বলেছেন, চায়না প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ সরকার যতি প্রস্তাব দেয় তবে তারা তা গ্রহণ করবে।#

এসংক্রান্ত আরো সংবাদ : কুটনীতি




একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনার চার পাশে ঘটে যাওয়া সংবাদ উপযোগী যে কোন ঘটনার ছবি বা ভুক্তভোগী ও সম্পৃক্তদের মোবাইল নম্বর আমাদের পাঠাতে পারেন।

সম্পাদক : রাজু আহমেদ

বার্তাকক্ষ
এসোসিয়েশন ভবন
৬১০০, রাজশাহী, বাংলাদেশ।
rzuahd@gmail.com
call@ 01711027084