Banner-adv-3-november.jpg The Incident
× Warning! Check your Cooke | Total Visitor : 142659

রাজশাহী

Published :
17-09-2020
12:02:52pm

Total Reader: 240



নানা অব্যাবস্থাপনায় ধুকছে বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স


* প্রধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দরজা বন্ধ করে অফিস করার অভিযোগ!
* স্বাস্থ্য পরীক্ষার যন্ত্রাংশ থাকার পরো টেস্ট করাতে যেতে হয় ক্লিনিকে!

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা ডাঃ আকতারুজ্জামান এর বিরুদ্ধে দরজা বন্ধ করে অফিস করাসহ রুগীদের সাথে অসদ আচারণ এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে ক্লিনিক ও ডায়াগোনিষ্ট ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আকতারুজ্জামান অত্র অঞ্চলের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে অনিয়ম করছেন ।

তথ্য মতে, রাজশাহী সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার পুর্ব দিকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানে চিকিৎসার জন্য অপারেশান থেকে শুরু করে সব ধরণের যন্ত্রপাতি আছে। তার পরেও প্রয়োজনীয় পরীক্ষার বেশিরভাগই করাতে হয় বাইরে থেকে। কারণ বাইরে পরিক্ষা-নিরিক্ষার জন্য ডায়াগোনিষ্ট সেন্টার এবং ক্লিনিক ব্যবসা রয়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বড়কর্তা আক্তারুজ্জামানের। এ কারনে রুগী এলেই নানা রকম পরীক্ষা (টেষ্ট) লিখে দেয়া হয়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে যে সকল আবাসিক কোয়াটার রয়েছে তার অধিকাংশই সাধারণ জনগণকে ভাড়া দেয়া। এ ছাড়াও আম গাছ, ডাব গাছ ও পুকুর লিজের হিসেব স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা ডা: আকতারুজ্জামান ও তাঁর আস্থাভাজন বড় বাবু ছাড়া আর কেও জানেন না। তারা আরো অভিযোগ করেন, সম্প্রতি সরকারি ভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য যে গাড়ি পাওয়া গেছে তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শামিমা আক্তার ডলি নামের ওই বড়বাবু একজন স্বাস্থ্য সহকারী।

বাঘা শাহ্দৌল্লা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তানজিম হাসান অভিযোগ করে বলেন, চারদিন পুর্বে কলেজে ভর্তির জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ সত্যায়িত করতে যাই ডা: আকতারুজ্জামানের অফিসে। এ সময় তাঁর রুমে প্রবেশ করার প্রধান দরজায় তালাবদ্ধ ছিল। পরে পাশের ঘর বড় বাবুর রুম হয়ে আরো দু’টি দরজা অতিক্রম করে দেখি, তিনি দু’জন নারীর সাথে গল্প করছেন। তখন তাঁর কাছে সার্টিফিকেট সত্যায়িত করার কথা বললে, তিনি বিরক্তির সাথে নিচ তলায় ৩০৪ নম্বর রুমে যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর ওই ডাক্তার আমার আব্বুর জাতীয় পরিচয় পত্রের মুল কফি দেখতে চান। পরে মুলকফি নিয়ে গিয়ে দেখি তিনি অফিসে নেই!

বাঘার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মনোয়ারুল ইসলাম মামুন বলেন, ২ টি পৌরসভা এবং ৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বাঘা উপজেলা। এখানে প্রায় দুই লক্ষ জনগোষ্ঠির চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। শুরুতে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা হিসাবে গড়ে উঠলেও পরে এটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এরপর এখানে অপারেশান থেকে শুরু করে সব ধরনের স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য আনা হয় প্রয়োজনীয় ম্যাশিনপত্র। তবে অজানা কারণে এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়না!

নাম প্রকাশ না করার সর্তে দু’জন স্বাস্থ্য সহকারি জানান, ডা: আকতারুজ্জামান এর রুমে প্রধান দরজায় তালা মেরে রাখাকে কেন্দ্র করে পাশের রুমে বর্তমানে যিনি (হিসাব রক্ষক) বড় বাবুর দায়িত্ব পালন করছেন তাকে নিয়ে নানা বাজে কথা শুনতে পাচ্ছি। এতে করে আমাদের মানক্ষুন্য হচ্ছে। অফিস সংশ্লিষ্টদের মতে, এখানে ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হলেও প্রভাবখাটিয়ে তারা অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যান। এতে করে মারাত্নক বিড়ম্বনা ও হয়রানীর শিকার হতে হয় এই অঞ্চলের রোগীদের। বিশেষ করে উপজেলার দুর্গম পদ্মার চারাঞ্চল রুগীরা এদিক থেকে খুবই অসহায়। মাঝে-মধ্যে দু’একজন ডাক্তারকে এখানে পোস্টিং দেয়া হলেও তারা হাসপাতালের কোয়াটারে থাকেন না। অফিস করেন জেলা শহর থেকে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা ডাক্তার আক্তারুজ্জামান বলেন, এখানে কাগজে কলমে ১৯ জন ডাক্তার থাকার কথা। কিন্তু আছে ১১ জন। এদের মধ্যে অনেককেই ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে রুগী দেখতে হয়। ৫ জন কনসালটেন্ট-শিশু, গাইনি, সার্জারী, মেডিসিন, এনেসথেসিয়া-সহডেন্টাল, মেডিক্যাল অফিসার , আযুরবেদীক এবং আর. এম.ও পদে ডাক্তার শুন্য রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পদে লোকবল সংকোট রয়েছে। এ কারনে ইচ্ছে থাকার পরেও আমরা রুগীদের ঠিকমত সেবা দিতে পারছিনা। এসব পদে লোকবল চেয়ে তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলে জানান।

এসংক্রান্ত আরো সংবাদ : স্বাস্থ্য-বিভাগ




একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনার চার পাশে ঘটে যাওয়া সংবাদ উপযোগী যে কোন ঘটনার ছবি বা ভুক্তভোগী ও সম্পৃক্তদের মোবাইল নম্বর আমাদের পাঠাতে পারেন।

সম্পাদক : রাজু আহমেদ

বার্তাকক্ষ
এসোসিয়েশন ভবন
৬১০০, রাজশাহী, বাংলাদেশ।
rzuahd@gmail.com
call@ 01711027084