Banner-adv-3-november.jpg The Incident
× Warning! Check your Cooke | Total Visitor : 142629

রাজশাহী

Published :
24-08-2020 । 11:33:27am

Total Reader: 254



অবশেষে স্বেচ্ছাশ্রমেই সাঁকোটি নির্মাণ করলো গ্রামবাসী


স্টাফ রিপোর্টার : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার দ্বারিকুশী-প্রতাপপুর রহিমের মোড়ে ডাঙ্গা নদীর উপরে স্বেচ্ছাশ্রমে প্রায় একশ’ ফুট দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করেছেন স্থানীয়রা। রবিবার সাঁকোটি সবার চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এতে দ্বারিকুশী ও প্রতাপপুর গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে, তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবসী।

জানা যায়, দ্বারিকুশী ও প্রতাপপুর গ্রামের বাসিন্দারা এ পথে নিয়মিত চলাচল করেন। এ পথে দুই গ্রামের শিক্ষার্থীরা প্রতাপপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বারিকুশী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বারিকুশী-প্রতাপপুর হাইস্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়। গ্রামের বাসিন্দারা দ্বারিকুশী ও জোনাইল বাজারে গিয়ে কেনাবেচা করেন। কিন্তু এখানে সেতু না থাকায় তাদেরকে বর্ষাকালে জীবনের ঝুঁিক নিয়ে ডিঙ্গী নৌকা বা কলার ভেলায় চড়ে নদী পার হতে হতো। এতে কৃষিপণ্য ও অন্যান্য মালামাল আনা নেয়াসহ চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতেন তারা। জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও কাজ না হওয়ায় অবশেষে গ্রামের লোকজন নিজেরাই নদীতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এরপর কেউ দিয়েছেন বাঁশ, কেউ দিয়েছেন টাকা, আর কেউ দিয়েছেন শ্রম। এভাবে গ্রামের লোকেরা মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে এ সাঁকোটি নির্মাণ করেছেন। বাঁশ ও তাল কাঠ দিয়ে তিন ফুট প্রস্থ ও একশ’ ফুট দীর্ঘ বিশিষ্ট সাঁকো নির্মাণ করেছেন তারা।

এ ব্যাপারে প্রতাপপুর গ্রামের সাবান মন্ডল জানান, ছেলেমেয়েরা নদীর ওপারের স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করে। কলার ভেলায় বা অনেক দুর দিয়ে ঘুরে তাদের যেতে হতো। এতে সব সময়েই বিপদের শঙ্কায় থাকতাম। এখন সাঁকোটি হওয়ায় এ দুর্ভোগ লাঘব হলো।

প্রতাপপুর যুব শক্তি সংঘের সম্পাদক সেলিম রেজা জানান, গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিতে খুব অসুবিধার মধ্যে পড়তে হতো। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাঁকোটি নির্মাণ হওয়ায় এ সমস্যায় আর পড়তে হবে না। দ্বারিকুশী গ্রামের শরীফুল ইসলাম জানান, আমাদের ফসলের জমি সব নদীর ওপারে। নদীতে ব্রীজ না থাকায় ধান-পাট কেটে বাড়িতে আনতে খুব কষ্ট হতো। এখন আপাতত বাঁশের সাঁকোটি হওয়ায় ফসলাদি আনতেও খুব সুবিধা হবে।

একই গ্রামের আব্দুর রহিম মন্ডল বলেন, সেতুর জন্য বিভিন্ন জনের কাছে ঘুরেও কাজ না হওয়ায় সবাই মিলে চলাচলের জন্য সাঁকোটি নির্মাণ করেছি। তবে এখানে সরকারীভাবে একটি সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।

জোনাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক জানান, এখানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ হওয়ায় এলাকাবাসীর চলাচলে সুবিধা হয়েছে। তবে স্থায়ীভাবে একটি সেতু নির্মাণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এসংক্রান্ত আরো সংবাদ : Inspire




একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনার চার পাশে ঘটে যাওয়া সংবাদ উপযোগী যে কোন ঘটনার ছবি বা ভুক্তভোগী ও সম্পৃক্তদের মোবাইল নম্বর আমাদের পাঠাতে পারেন।

সম্পাদক : রাজু আহমেদ

বার্তাকক্ষ
এসোসিয়েশন ভবন
৬১০০, রাজশাহী, বাংলাদেশ।
rzuahd@gmail.com
call@ 01711027084